জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

জাতিসংঘ, ২৪ সেপ্টেম্বর:
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি-৫ অর্জনকে এগিয়ে নিতে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে শারমীন এস মুরশিদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি-৫ অর্জন করেত হলে কাজের গতি বাড়াতে হবে। নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণে সাফল্যের পাশাপাশি পিছিয়ে যাওয়ার উদাহরণও রয়েছে। সমস্যাটি দৃষ্টিভঙ্গির নয়, অসম জাতীয় অগ্রাধিকারের। তাই আমাদের বিবেক এবং হৃদয়ের ভালোবাসা দিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি যত্নশীল, সভ্যতার সমাজ গড়ে তোলার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষায় লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা, লিঙ্গ- প্রতিক্রিয়াশীল বাজেট প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি, শ্রমশক্তির বাজারে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন স্কোর অর্জনসহ আরো অনেক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
উপদেষ্টা বলেন, নারীদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ ২০২৫-২০৩০ মেয়াদে চারটি উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে; নারী ও শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ২০২৫ সালের মধ্যে একটি যৌন হয়রানি প্রতিরোধ অধ্যাদেশ প্রণয়ন; ২০২৭ সালের মধ্যে একটি গৃহস্থালি উৎপাদনমূলক স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট প্রতিষ্ঠা করা যাতে অবৈতনিক সেবামূলক কাজের মূল্য নির্ধারণ করা যায়; জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে কমপক্ষে ৩৩% নারী প্রার্থীকে অংশগ্রহণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করা; এবং সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল বাজেট সম্প্রসারণ করা।
উপদেষ্টা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তরুণদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো এবং দক্ষতা অনুযায়ী কর্মসংস্থান নিশ্চিতের জন্য কাজ করা। কর্মশক্তির উন্নয়ন এবং সকলের জন্য মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করার জন্য সেবাখাতের ব্যাপক প্রচার অপরিহার্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।