এনডিসি এবং এনডিসি’র ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার সম্প্রসারণের ঘোষণা

যশোর, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল যশোর সফটওয়্যার
টেকনোলজি পার্ক ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার (এনডিসি) এবং
এনডিসি’র ডিজাস্টার রিকোভারি ডেটা সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং অপারেশন কার্যক্রম
রিভিউ করেন। পাশাপাশি সেখানে নতুন ডেটা সেন্টারের নকশা, সাইট পরিদর্শন শেষে প্রস্তাবিত
এবং বিদ্যমান সুবিধাসমূহের সার্বিক মান উন্নয়ন এবং অপারেশনাল এক্সিলেন্স বিষয়ে নির্দেশনা
প্রদান করেন। এ সময় আগামী ছয় মাসের মধ্যেই ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার এবং ডিজাস্টার রিকভারি
ডেটা সেন্টারের সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পরিদর্শনকালে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সফটওয়্যার
টেকনোলজি পার্কের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, পার্কের অব্যবহৃত ফ্যাসিলিটিতে যশোরের
বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে হ্যাকাথন, আইডিয়াথন, স্টার্টআপ ডেভেলপমেন্ট
প্রোগ্রামসহ নিয়মিত বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করে স্টার্টআপের ইকোসিস্টেম পাইপলাইন তৈরি
করতে হবে। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা, ডিজিটাল ভেরিফিকেশন, সাইবার লিটারেসি বিষয়ে সচেতনতা
বৃদ্ধি করতে নিয়মিত সেমিনারের আয়োজন করতে হবে। যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করবেন এবং যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান
প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা প্রদান করার সম্মতি প্রদান করেন। এরপর তিনি সফটওয়্যার টেকনোলজি
পার্কে সেবা ডট এক্সওয়াইজেড এবং চালডাল ডট কম-এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
যশোর সার্কিট হাউসে যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের বিনিয়োগকারীদের সাথে মতবিনিময়
সভায় অংশগ্রহণ করেন। বিনিয়োগকারীরা ভাড়া কমানোর দাবি জানালে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কমিটি
করা হয়েছে। অতীতে বৈষম্যপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে রাজশাহী সফটওয়্যার পার্কে কম ভাড়া
দেখানো হয়েছে বলে সেটাকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরলে হবে না। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ
এবং কর্মসংস্থানের পাইপলাইন বিবেচনায় ভাড়ার ক্ষেত্রে যৌক্তিক মূল্যহ্রাস দেওয়া হবে।
তবে শর্ত হিসেবে তার আগে বকেয়া ভাড়া এবং বকেয়া ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে হবে বলে তিনি
জানান।
ফয়েজ আহমদ আরো বলেন, বিগত সরকারের দলীয় বিবেচনায়
নিয়োগপ্রাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না করেই অর্থ লুটপাট
করে পালিয়ে গেছে, এতে সরকার এবং বিনিয়োগকারীরা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিষয়টি সমাধানে
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। মতবিনিময় সভায় সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের
প্রায় ৪০টি প্রকৃত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিজনেস কন্টিনিউটি সুরক্ষার ব্যাপারে আলোচনা
হয়।
পরিদর্শন এবং মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ হাইটেক
পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আমিরুল ইসলাম, ডেটা সেন্টার কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন
ই-কমার্স প্রতিনিধি এবং বিনিয়োগকারীগণ উপস্থিত ছিলেন।