সংবাদ শিরোনাম

গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান, দূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি বাংলাদেশের

 প্রকাশ: ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০৮ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান, দূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি বাংলাদেশের

ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট):   

প্রস্তাবিত গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির সর্বশেষ খসড়া বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং প্লাস্টিক দূষণ রোধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। জাতিসংঘ পরিবেশ পরিষদের প্রস্তাব ৫/১৪ অনুসারে প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে আন্তর্জাতিকভাবে আইনি বাধ্যতামূলক চুক্তি প্রণয়নের যে ম্যান্ডেট রয়েছে খসড়াটি তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে বাংলাদেশ মতামত দিয়েছে।


গতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত প্লাস্টিক দূষণবিষয়ক আন্তঃসরকারি আলোচনাসভা (আইএনসি-৫.২)-এর দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের এই অবস্থান জানানো হয়।


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মতে, খসড়াটি দুর্বল ও অপর্যাপ্ত এতে সরবরাহ-পক্ষীয় পদক্ষেপ বাদ দেওয়া হয়েছে, প্লাস্টিকের পূর্ণ জীবনচক্র, স্বাস্থ্য প্রভাব, ক্ষতিকর রাসায়নিক, বর্জ্য ব্যবস্থার অগ্রাধিকার ও আন্তঃসীমান্ত দূষণ রোধে বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং বৈশ্বিক সংকটের গুরুত্ব উপেক্ষা করা হয়েছে।


বাংলাদেশ জোর দিয়ে বলেছে, এই খসড়াতে মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় কার্যত কিছুই রাখা হয়নি এবং এতে ক্ষতিকর প্লাস্টিক পণ্য বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অর্থবহ সংশোধন ছাড়া খসড়াটি সমর্থনযোগ্য নয় বলেও বাংলাদেশ স্পষ্ট করেছে এবং জাতিসংঘ পরিবেশ পরিষদের  ম্যান্ডেট অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের আহ্বান জানান। জেনেভায় আইএনসি-৫.২ চলাকালীন এক অনানুষ্ঠানিক মন্ত্রিপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে তিনি ভাটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ঝুঁকির কথা তুলে ধরে আন্তঃসীমান্ত প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বৈশ্বিক কাঠামো তৈরির আহ্বান জানান। এছাড়া, তিনি পরিবেশ ও স্বাস্থ্য উভয় ক্ষেত্রেই প্লাস্টিক দূষণের প্রভাব তুলে ধরে ক্ষতিকর প্লাস্টিক পর্যায়ক্রমে বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।