সংবাদ শিরোনাম

খুলনার ডুমুরিয়ায় জলাবদ্ধতায় একাধিক মন্দিরে পূজা বন্ধ

 প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন   |   জেলার খবর

খুলনার ডুমুরিয়ায় জলাবদ্ধতায় একাধিক মন্দিরে পূজা বন্ধ

খুলনা জেলা প্রতিনিধি:

দেখলে মনে হবে কোনো ডিঙি নৌকার ঘাট। অথচ সেটি আসলে কৃষ্ণনগর সার্বজনীন হরিগুরু পূজা মন্দির। দীর্ঘ দুই মাস ধরে পানিতে নিমজ্জিত থাকায় এ মন্দিরসহ আরও কয়েকটি পূজামণ্ডপে এবার দুর্গাপূজা হচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণনগর, মুজারঘুটা, বারানসি ও বটভেড়া গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত। ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে হাঁটু থেকে কোমর পানি থাকায় চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে গ্রামবাসী। এ অবস্থায় কৃষ্ণনগর সার্বজনীন হরি মন্দিরে এবার দুর্গাপূজা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানায়, এ বছর ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়নে ২১২টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে কৃষ্ণনগরের ১টি ও মুজারঘুটা গ্রামের ৩টি মন্দিরে পূজা হবে না। তবে পানিবন্দি থাকার পরও কৃষ্ণনগর, মুজারঘুটা ও বারানসি গ্রামের ৮টি মন্দিরে পূজা আয়োজন অব্যাহত রয়েছে। ভক্তদের সেখানে যাতায়াত করতে হচ্ছে ডিঙি নৌকায়।

স্থানীয় কৃষ্ণপদ মণ্ডল বলেন, “মন্দির চত্বরে কোমর পানি উঠেছিল। পানি কমতে অনেক সময় লাগছে। এখনো দেড় থেকে দুই ফুট পানি রয়েছে।”

দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতার কারণে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে এবং বিষাক্ত সাপের উপদ্রব বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ কুন্ডু টুটুল জানান, এ বছর মন্দিরের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২টিতে। গত বছর তা ছিল ২০০টি। জলাবদ্ধতার কারণে কিছু মন্দিরে পূজা বন্ধ হলেও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে প্রতিটি মন্দিরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করবেন।