সংবাদ শিরোনাম

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো পরিচালনা পর্ষদের ১৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত

 প্রকাশ: ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো পরিচালনা পর্ষদের ১৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট):

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের  সভাপতিত্বে গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কনফারেন্স রুমে পরিচালনা পর্ষদের ১৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খানসহ দেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের মেলা ক্যালেন্ডার এবং ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরের আংশিক মেলা ক্যালেন্ডার অনুমোদন দেওয়া হয়। রপ্তানিমুখী শিল্পখাত ও উৎপাদকদের জন্য বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবং সরকারের বাজার বহুমুখীকরণ কৌশলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর একটি স্বতন্ত্র আন্তর্জাতিক সোর্সিং ফেয়ার আয়োজনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সভায় নভেম্বর মাসে ‘সোর্সিং বাংলাদেশ ২০২৫’ মেলা আয়োজনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন দেশের বাইরে আয়োজিত মেলায় অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বলেন, প্রত্যেকটা মেলা সম্পর্কে আমাদের একটি বিশ্লেষণ থাকা দরকার। যেখানে আমাদের দেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ প্রয়োজন সেখানে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। শুধু অংশগ্রহণ নয় যাতে দেশের উন্নতি হয়-ব্যবসাটা বৃদ্ধি পায় সেদিকে মনযোগ দিতে হবে।
সোর্সিং মেলা আয়োজনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বাণিজ্য সচিব বলেন , সোর্সিং মেলা আয়োজন না করলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশীয় পণ্যের পরিচিত বাড়বেনা,আমাদের সক্ষমতাও তৈরি হবেনা। এসময় তিনি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সোর্সিং মেলার প্রচারণা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) নাম পরিবর্তন করে ঢাকা বাণিজ্য মেলা (ডিটিএফ) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নাম পরিবর্তনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় , ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমন্বয়ে আয়োজনের উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছিল। 
মেলার লক্ষ্য ছিল বিদেশি প্রতিষ্ঠানসমূহের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে গুণগতমানসম্পন্ন পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন এবং স্থানীয় বাজারের সাথে পরিচিতি করানো। কিন্তু অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান দূতাবাস বা সরকারি প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে অংশগ্রহণ না করে স্থানীয় এজেন্ট বা ব্যক্তির মাধ্যমে অংশ নিচ্ছে। ফলে পণ্য ও সেবার মান যাচাই করা যাচ্ছে না। এতে বিদেশি ব্র্যান্ড বা উৎপাদনকারী না থাকায় ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে এবং প্রদর্শনীর আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন  হচ্ছে।