নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রাণীদের রোগমুক্ত রাখা জরুরি -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

রংপুর, ৩০ ভাদ্র (১৪ সেপ্টেম্বর):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, নিরাপদ মাংস, ডিম ও দুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে প্রথমত প্রাণীদের সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখা জরুরি। এ লক্ষ্যে সব প্রাণীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে সরকার ভ্যাকসিন উৎপাদন কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ করবে। তিনি বলেন, প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া অনেক সংক্রামক রোগ (জুনোটিক রোগ) মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই মানুষের স্বাস্থ্য ও প্রাণীর স্বাস্থ্যসেবাকে একসূত্রে গেঁথে ‘ওয়ান হেলথ’ ধারণার আওতায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
আজ রংপুর দিনাজপুর রুরাল সার্ভিস (RDRS)-এর বেগম রোকেয়া হলে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)-এর Divisional Progress Review Workshop-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এলডিডিপি প্রকল্পের সফল কার্যক্রমগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নতুনভাবে এগিয়ে নিতে হবে। প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ শেষ করা গেলে একদিকে সরকারের সুনাম বাড়বে, অন্যদিকে কর্মকর্তাদের সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। পুষ্টির মানোন্নয়ন এসডিজি’র অন্যতম লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, দুধ আমাদের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য। বর্তমানে দেশে বছরে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার গুঁড়া দুধ আমদানি করতে হয়। এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় এলাকাভিত্তিক চিলিং সেন্টার স্থাপন করা গেলে দেশে দুধ আমদানির প্রয়োজন হতো না এবং দুধের অভাবও থাকতো না।
উপদেষ্টা বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল মিল্ক ফিডিং কার্যক্রম ৩০০ স্কুল থেকে বাড়িয়ে ৬০০ স্কুলে চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে ডিম অন্তর্ভুক্ত করা গেলে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুষ্টির ঘাটতি দূর করা সম্ভব।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রংপুর বিভাগের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রোডিউসার গ্রুপ (পিজি) খামারিরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।