সংবাদ শিরোনাম

ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের ২৮তম কংগ্রেসে কাউন্সিল অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সদস্যপদে বাংলাদেশ পুনরায় নির্বাচিত

 প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২২ অপরাহ্ন   |   আন্তর্জাতিক

ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের ২৮তম কংগ্রেসে কাউন্সিল অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সদস্যপদে বাংলাদেশ পুনরায় নির্বাচিত

ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর):   

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন (UPU)-এর ২৮তম কংগ্রেসে কাউন্সিল অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (CA)-এর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে বাংলাদেশ অষ্টমবারের মতো UPU-CA-এর সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।

CA হলো UPU-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন, যা প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি বৈশ্বিক ডাকসেবার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এর কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে—আন্তর্জাতিক ডাক সার্ভিসের উন্নয়নমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কংগ্রেসে গৃহীত প্রস্তাব বাস্তবায়ন, বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা প্রকল্প প্রণয়ন ও সমন্বয়, বার্ষিক বাজেট অনুমোদন করা। এছাড়া তহবিল ব্যবস্থাপনা, সদস্য দেশগুলোর চাঁদার হার নির্ধারণ, আন্তর্জাতিক ব্যুরোর পদ সৃষ্টি বা বিলুপ্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদন এবং গবেষণা ও নীতিনির্ধারণমূলক প্রস্তাব গ্রহণ করা।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের দায়িত্বকালীন সময়ে UPU-এর আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে ডাক বিভাগের মাঠ পর্যায়ের রানারদের জন্য ৫০টি ইজিবাইক বরাদ্দ করা হয়। যা ডাকসেবার মানোন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের এ সাফল্য অর্জনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক তৎপরতা এবং প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে গৃহীত উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এ অর্জনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক, পিটিডি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং দুবাইয়ে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ সকলে আন্তরিকভাবে অবদান রেখেছেন। 

UPU জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা বৈশ্বিক ডাকসেবার নীতি নির্ধারণ ও সমন্বয়ে কাজ করে থাকে। বাংলাদেশ পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বৈশ্বিক ডাক খাতের আধুনিকায়ন, ই-কমার্স ও ডিজিটাল ডাকসেবা সম্প্রসারণ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে।

বাংলাদেশের এই অর্জন দেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো সুদৃঢ় করবে এবং বৈশ্বিক পরিসরে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।